জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হলো

জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল, নিপুণকে জয়ী ঘোষণা
ফাইল ছবিঃ

জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হলো

শনিবার বিকাল পাঁচটায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক দুই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সভা আহ্বান করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এই সভায় আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান এই ঘোষণা দেন।

জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য পরিচালক সোহানুর রহমান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক আজকের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এজন্য শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপুণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে অপর প্রার্থী নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

এদিকে শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এফডিসি প্রাঙ্গণ দুপুর থেকে উত্তপ্ত ছিল। ভোটাধিকার হারানো ১৮০ জন শিল্পী সেখানে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে স্লোগানে উত্তাপ ছড়ান। সমস্বরে তারা ‘জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকারে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীর মধ্যে একজন নৃত্যশিল্পী আক্ষেপ করে বলেন, আমি বিশ বছর ধরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে জড়িত কিন্তু জায়েদ খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয় এ থেকেই আমি আমার অধিকার ফিরিয়ে দিতে এই মানববন্ধনে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করি আমি চাই আমার মতো যারা বাদ পড়েছেন তারা এবার নতুন পেনেলে সবাই সদস্য সদস্য হতে পারবেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো হ্যাটট্রিক জয় শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

কিন্তু নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। চিত্র নায়িকা নিপুনের অভিযোগ জাহেদ খান ভোট জালিয়াতি করে এবং টাকা লেনদেনের মাধ্যমে জোরপূর্বক নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করে অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার কিছু ভিডিও ফুটেজ সবার উদ্দেশ্য প্রচার করেন। এরপর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল আপিল বিভাগে আবেদন করার বিষয়। প্রাথমিকভাবে সেটি তদন্ত করা হলেও বর্তমানের সেটি ভিন্ন চিত্র উল্লেখ্য হয়ে আসছে সামনে। এ প্রেক্ষিতে নবনির্বাচিত জাহেদ প্যানেলের চুন্নু ও জায়েদ খানের পদ বাতিল হতে চলেছেন।

গত ২৮ জানুয়ারি সমিতির নির্বাচনের পর ২৯ তারিখ ফল ঘোষণা করা হয়।

অভিনেত্রী নিপুণের দাবি, জায়েদ খান ভোট কিনেছেন। এ ছাড়া বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাই কাজ করেছেন জায়েদের পক্ষে। নির্বাচনের দিন থেকেই এ অভিযোগ করে আসছিলেন তিনি।

জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য পরিচালক সোহানুর রহমান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এই দিকনির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ্য করেন চিত্রনায়িকা নিপুণ ভোটের দিন প্রধান বিচারক তাকে অশালীন মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৯৬১ সালের সেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-এ বলা আছে, এই প্রতিষ্ঠানের আওতায় নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে তদন্তে যদি অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। গঠনতন্ত্রে যদি সমাধান পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্থ হওয়া যাবে।

খুব শীঘ্রই কলকাতা মুভিতে প্রযোজনা ও অভিনয় করতে যাচ্ছেন হিরো আলম

সম্প্রতি পরিচালক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক ঘোলাটে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মিডিয়াকর্মী অনেকেই। এর মধ্যেই হিরো আলম ফেসবুক লাইভে এসে তার আক্ষেপের কথা জানালেন। সম্প্রতি তার একান্ত সাক্ষাৎকারে ডেইলি সিলেট জানান,  তিনি বাংলাদেশের ছবি কেন করবেন না? তিনি বলেন, যেখানে আমার মূল্যায়ন নেই সেখানে আমার প্রয়োজন নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেহেতু ওপার বাংলার মানুষ আমাকে ভালবাসে এবং অনেকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে তাই সেখানে অভিনয় করব। প্রয়োজনে সেটা চালিয়ে যাব। আপনারা আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আমি আমার কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিতে পারি যে আমি সত্যি কারের হিরো। এরই মধ্যে অনেক প্রমাণিত হয়েছি যে, আসলে কে জনপ্রিয়তা বেশি? সেটা সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সকল সর্বস্তরের মানুষ আমাকে যে পরিমাণে সাপোর্ট করেছে বা লাভ করে তাতেই আমি অনেক হ্যাপি। আশা করি এটা আমি ধরে রাখতে পারব। আমি যেহেতু অভিনয় জগতের মানুষ সেহেতু আমি অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছি না আমি আমার পেশাকে অনেক মূল্যায়ন করি। পাশাপাশি আমি গান নিয়েও কাজ করে যাবো।

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেব’- লেখক আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)

বইয়ের প্রচ্ছদে তিনি লিখেছেন, বিখ্যাত হতে আসিনি, শুধু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চেয়েছি।

হিরো আলমের জীবনী নিয়ে লেখা বইটি সম্পাদনা করেছেন সৌরভ আলম সাবিদ। এটি বাজারে এনেছে তরফদার প্রকাশনী।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার সর্বপ্রথম বইটির উদ্বোধন হয়।

হিরো আলম বলেন, আমার বইটি কে কিনবে বা কিনবে না সেটা বড় কথা নয়। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব- বইটি একবার হলেও পড়া উচিত, না কিনলেও অন্তত খুলে পড়ে দেখবেন।

তিনি আরো বলেন সর্বত্রই আমার পরিচিতি বেড়েছে কিন্তু আমি এই পর্যায়ে আসার পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ আমাকে নিয়ে নানা বিদ্রুপ মন্তব্য করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে বইটি লিখা। বইটিতে আমার জীবন কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।

পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয়, কেউ থাকবে না হয়তো আমিও মারা যাবো, তখন আমার স্মৃতি থাকবে। হয়তোবা তখনই মানুষ আমার এই বইটি পড়ে চোখের জল ফেলবে। জীবিত থাকতে মূল্যায়ন পাইনা মারা যাওয়ার পর তার কর্ম মাধ্যমে মর্ম  বুঝতে পারে এটাই দেশের নিয়ম

বইটির প্রকাশক ও সম্পাদনাকারী সৌরভ আলম সাবিদ বলেন, হিরো আলমের জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। এটি পুরোপুরি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ নয়, বইয়ের অনেকাংশই উদ্দীপনামূলক।

বইমেলার পাশাপাশি বইটি অনলাইন বিপণন প্রতিষ্ঠান রকমারি ডটকমেও পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন

সুশীল সমাজে আমাকে মেনে নিচ্ছে না ,তাই আমি অভিনয় থেকে সরে যাচ্ছি

হিরো আলম শব্দটি বহুল পরিচিত শুধু বাংলাদেশ নয় এশিয়া মহাদেশের সব খানেই হিরো আলম খুব জনপ্রিয়।

সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসিতে গিয়ে বারবার অপমানিত হয়েছেন হিরো আলম। তার ফেসবুক লাইভ এসে কান্নাজড়িত কন্ঠে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এখন সিনেমা নির্মাণ বন্ধ ও এফডিসিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (৩০ জানুয়ারি) এফডিসিতে পরিচালক শাহীন সুমন অনেক লোকের মধ্যে অপমান করে আমাকে বের করে দেয়। আমি আর কারও বিরুদ্ধে কোনো কথা বলব না, এফডিসিতে যাব না, চলচ্চিত্রও নির্মাণ করব না।’

আক্ষেপের সুরে হিরো আলম জানান, ‘এই চলচ্চিত্রের জন্য আমি কী না করেছি! চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি বলেই ফেসবুক, ইউটিউব, বিভিন্ন কনসার্ট থেকে উপার্জনের টাকা দিয়ে সিনেমা বানাই। কিন্তু এফডিসির কিছু লোক বলছে আমি সিনেমাকে নষ্ট করে ফেলছি। তাই আমার সঙ্গে ভালো কোনো শিল্পীর কাজ করতে দেয় না। তাই আজ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম কোনো সিনেমা করবো না।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া শিল্পী সমিতির এফডিসি নির্বাচনে চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আর তাই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিজেদের অপমানের বদলা নিতে তিন দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ১৭ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বগুড়ার ছেলে আশরাফুল হোসেন আলম। কেন? আজকে তাকে নিয়ে কথা বলছি, কারণ সে জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। শুধু আমি নয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে বেশ আলোচিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এবার আসি কেন হিরো আলম এত আলোচিত? হিরো আলম খুব সাধারণ ঘরের সন্তান তার জীবিকার প্রধান উৎস ছিল প্রথমদিকে চানাচুর বিক্রি, তারপরে সিডি ক্যাসেটের দোকান তারপর ক্যাবল অপারেটর (ডিস) ব্যবসার সাথে জড়িত হন। সেখান থেকেই মূলত বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে অভিনয় শুরু করেন। যেটাকে বলা হয় মিউজিক ভিডিও।

তখন তার বেশ কয়েকটি গানের মডেলিং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন মিডিয়া তার সাথে যোগাযোগ করে। তখন থেকেই তার যাত্রা পুরোদমে শুরু হয়। বিভিন্ন ছোট ছোট ফিল্ম নাটক কে তাকে দেখা যায়। সেগুলো রীতিমতো বেশ জনপ্রিয় হয়। তার এই সব জনপ্রিয় দেখে বিভিন্ন পরিচালক তার সাথে যোগাযোগ করেন। সফলভাবে মোট পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে এর মধ্যে দুটি ছবি রিলিজ হয়েছে আর বাকি তিনটি ছবি মুক্তি অপেক্ষায়।

আপনারা ইতিমধ্যে অবগত আছেন যে তার একটি পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল আছে যার সাবস্ক্রাইবার প্রায়
১.৩৬ মিলিয়ন  সম্প্রতি তার ফেইসবুক পেইজ এর ফলোয়ার সংখ্যা ২ মিলিয়ন।

এতিমধ্যে Arshaful Hossen Alom আরেকটি ফেইসবুক পেইজ সম্প্রতি চালু করেছেন

বাবা যায় কতটা জনপ্রিয় হলে তার এত ফলোয়ার হয়। হ্যাঁ সত্যি সে বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। কিন্তু তার পিছনে অনেক দুঃখজনক ইতিহাস রচিত আছে যা কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। প্রতিনিয়তঃ থাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তার এই পথ পাড়ি দিতে অনেক চড়াই উতরাই পার করতে হয়েছে।

সফল হওয়া সহজ কাজ নয়। নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি। একজন নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সেটা আরো কঠিন।

অন্যরা কী ভাবছে তা ভাবার ও পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই
বিশ্বাস বিখ্যাত কমেডিয়ান এবং লেখক জো ব্রান্ড বলছেন, অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার কোন দরকার নেই।

কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।

“আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে। আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরো বহু মানুষ তা পছন্দ করে না বলেই মনে হয়।”

“আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

“আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড় ব্যপার না। এটা মনে রাখা জরুরী বলে আমি মনে করি।”

দৃষ্টিভঙ্গি বদলান
অনেক সময়ই কোন খারাপ মুহূর্তে আমরা ভাবি আমাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে বা এখান থেকে সামনের দিকে এগুলো সম্ভব নয়।

কিন্তু সেটা অন্যভাবে ভাবা যায়, যেমন আমরা ভাবতে পারি নতুন কোন কিছুর বীজ বোনা হয়েছে। আবার শুরু করতে পারি নতুন জীবনের ইতিহাস।

অভিনেত্রী কেলেসি ওকাফর বলছেন, “আমার স্থির বিশ্বাস, আপনাকে আসলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি নিজের জীবন বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেমন মনোভাব পোষণ করেন।

ইতিবাচকভাবে দেখার অভ্যাস করা দরকার আমাদের।”

হিংসা মানুষের সৎ কর্ম নষ্ট করে

মানবচরিত্রে যেসব খারাপ দিক আছে, তার মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ মারাত্মক ধরনের ক্ষতিকারক। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ, ঈর্ষাকাতরতা, কলহ-বিবাদ প্রভৃতি মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনকে অত্যন্ত বিষাদ ময় করে তোলে। এতে মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। অন্যের সুখ-শান্তি ও ধন-সম্পদ বিনষ্ট বা ধ্বংস করে নিজে এর মালিক হওয়ার কামনা-বাসনাকে আরবিতে ‘হাসাদ’ অর্থাৎ হিংসা বলা হয়।

হিংসা-বিদ্বেষ একটি ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি। মানুষের হীন মনমানসিকতা, ঈর্ষাপরায়ণতা, সম্পদের মোহ, পদমর্যাদার লোভ-লালসা থেকে হিংসা-বিদ্বেষের উৎপত্তি ও বিকাশ হয়।

হিরো আলমের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান নিন্দুকেরা যাই বলুক না কেন আপনি আপনার গতিতে এগিয়ে চলুন। সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে হলে অবশ্যই বাধা-বিপত্তি অনেক আসবে সে গুলোকে পরোয়া না করে আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে হাঁটুন। একটি কথা মনে রাখবেন যাদেরকে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করে তারাই কিন্তু দিনশেষে জনপ্রিয়।