শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হিরো আলম

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হিরো আলম
ফাইল ছবি

শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হিরো আলম

শিল্পী সমিতি নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র বিএফডিসি। এরই মধ্যে বহু আলোচিত শিল্পী সমিতির নির্বাচন গত 28 শে জানুয়ারি রোজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। দুঃখজনক হলেও সত্য শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন চলচ্চিত্র আর 18 সদস্যবিশিষ্ট সংগঠনকে কোন সদস্যকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এজন্য আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিএফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগ ও শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বেশকিছু কর্মসূচি দিয়েছেন 18 সংগঠনের নেতারা।

এটি খুবই দুঃখজনক লজ্জাজনক বিষয় হিরো আলম বলেন‘গতকাল আমি সকালে বিএফডিসির ভিতরে ঢুকতে গেটের কাছে আসছিলাম। তখন দর্শক আমাকে দেখে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যে অনেক দর্শক জমা হয়। তাই পুলিশ আমাকে বিএফডিসির ভিতরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার আমাকে এ্ফডিসির গেট দিয়ে বের করে দেয়। এএবং আমাকে পুলিশ সদস্যরা হেফাজত করে গাড়িতে উঠিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়

ইতিমধ্যে আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছি আমার কাছে শিল্পী সমিতির কার্ড আছে তা সত্তেও আমাকে কেন ঢুকতে দেয়া হয়নি এটা খুবই লজ্জাজনক এবং অপমান জনক বিষয় আমার সিনেমার সিনিয়র আর্টিস্ট ও কলাকুশলীদের সাথে একি ব্যবহার করা হয় এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় ।

শিল্পী সমিতির ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘একি ব্যবহার।
নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন আমার কাছে এটি জাতীয় নির্বাচন মনে হয়েছে কেন নয় 365 ভোটগ্রহণ এবং গণনা করতে যদি সারারাত পার করে দেয় তাহলে সেটি নিঃসন্দেহে সন্দেহজনক আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ

যারা জয়ী হয়েছেন তাদের নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘ভোট শেষ হয়েছে। এখন শিল্পীরা আমরা ভাই ভাই। রাগ অভিমান ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিনেমা কীভাবে তৈরি করা যায় সেই ব্যাপারে আলোচনা করতে পারি। ভোট আজ আছে তো কাল নেই। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে সিনেমাকে নিয়ে। তাই আমাদের সবাইকে মিলেমিশে সিনেমায় কাজ করতে হবে। তাই সব ভুলে কাজ করতে হবে যারা জয়ী হয়েছেন। যারা জয়ী হননি তাদের সব ভুলে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের সাহায্য করতে হবে।

আরো পড়ুন

১৪ ই ফেব্রুয়ারি আসছে ভালোবাসা দিবসে বাবা-মেয়ের গল্প

ভালোবাসা দিবসে আসছে বাবা-মেয়ের গল্প মেহজাবীন ও বিশিষ্ট অভিনেতা তারিক আনাম খান।

প্রতি বছর ভালোবাসা দিবসে সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীর নানা রকম ভালোবাসার নাটক প্রচার হতে দেখা যায়। এবার ব্যতিক্রমধর্মী গল্প নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন নাট্যনির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।

বাবা-মেয়ের ভালোবাসার গল্পে তিনি নির্মাণ করছেন খণ্ড নাটক ‘কাজল’। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে। চরিত্রটিকে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মোস্তফা কামাল রয় এবং মেহজাবিন ও তারিক আনাম তাদের জনপ্রিয়তা অনেক শীর্ষে সে থেকে অগ্রিম বলায় যাচ্ছে এই নাটকে দর্শকপ্রিয়তা ভালো সারা পাবে।

তার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান।
নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক রাজ বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসে সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার কথা বলাবলি হয়।

আমি ভাবলাম, বাবা-মেয়ের ভালোবাসার গল্প বলবো। তাই এটি লিখেছি।

তিনি আরও জানান, ‘কাজল’র মাধ্যমে মেহজাবীনকে নিয়ে প্রায় দুই বছর পর নাটক নির্মাণ করলেন তিনি।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীতে নাটকটির শুটিং পর্ব সম্পন্ন হচ্ছে। এতে আরো অভিনয় করছেন মিলি বাশার ও অপ্সরা। থাকছে বাবাকে নিয়ে একটি গান, যার সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন নাভেদ পারভেজ।

আসছে ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে ‘কাজল’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

প্রতি ঘন্টা সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়ুন

অতি শীঘ্রই কর্মজীবনে যেসব পরিবর্তন আসছে, শেষ হচ্ছে না মহামারি করোনার প্রভাব। বিশেষজ্ঞদের ধারণা  করেছিলেন, বেশ কয়েকটি কোম্পানির ইতিমধ্যে টিকা চলে এসেছে, ২০২২ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের সিংহভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া গেলেও  মহামারির শেষ দেখা যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হিসাব মিলছে না করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ধরনের আগমনে সেই ধারণা অনেকটা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ফলে কর্মের জগতেও চিরস্থায়ী এক পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

কিছুসংখ্যক মানুষ অগ্রিম ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, মার্ক জাকারবার্গের তৈরি ফেইসবুক মেটাভার্সের জগতে প্রবেশ করবে কর্মজগৎ। অর্থাৎ একধরনের ভার্চ্যুয়াল বাস্তবতার জগতে প্রবেশ করবে কর্মক্ষেত্র, এই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে চলবে সকল ধরনের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। আবার অনেকেই বলছেন, এরপর কর্মীরা হয়তো বিটকয়েনে বেতন দাবি করবেন। কেন্দ্রীভূত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা হয়তো থাকবে না, বরং তার বদলে বিকেন্দ্রীকৃত স্বায়ত্তশাসিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, অনেকটা মার্কিন সংবিধানের আলোকে। মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস-এর এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি এসব তথ্য উঠে এসেছে।

নতুন বছর ২০২২ সালেই যে কর্মক্ষেত্রে এসব পরিবর্তন চলে আসবে, এসব ধারনাটা ভুল হতে পারে। করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের আগমনের কারণে এটা নিশ্চিত, আবার কবে অফিসের সব মানুষ একসঙ্গে কাজ করবেন, তার সময়-ক্ষণ নির্ধারণ করা বলা সম্ভব না।

দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের প্রথম ক্ষেত্র হচ্ছে অফিস ও সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা। একের পর এক ভাইরাসের নতুন ধরন আসার কারণে বিষয়টি একপ্রকার অনেকটাই নিশ্চিত। তখন হয়তো প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করতে হবে। যেমন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সংক্রমণের হার কত, সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঠিক করতে হবে, অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি যাবে না।

দ্বিতীয়ত, উচ্চ মূল্যস্ফীতি আমাদের জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কর্মীদের আর্থিক অবস্থার অবনতির দিকে যাচ্ছে । তাই বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ জোরালো হচ্ছে, কিন্তু গুগলের মতো বৃহৎ কোম্পানি ইতিমধ্যে সকল কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করতে তারা গণহারে সব কর্মীর বেতন বাড়াতে পারবে না। অর্থাৎ কিছু সংখ্যক কর্মীর বেতন বাড়ানো হবে। তবে সবাই আবার এক পথে হাঁটছেন, তা নয়। এক গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের ৪০ শতাংশ গ্রাহক কোম্পানি ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি সমন্বয়ের চিন্তা করছেন। অন্যদিকে কাজের বাজারে আরও প্রতিযোগিতা আসছে বলে জানা গেছে গ্র্যান্ড থর্নটনের আরেক জরিপে। কোম্পানিটির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বলেছেন, এটা নিছক মূল্যস্ফীতির বিষয় নয়, মেধাবীদের কাজে নিতে একধরনের যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ২০০৮ সালের পর বেতন বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে এখন। আরেক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরুতে মজুরি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, গত এপ্রিলে যা ছিল ৩ শতাংশ।

তৃতীয়ত, মহামারির করোনা ভাইরাস ও ওমিক্রন কারণে সর্বস্তরের কর্মীদের মধ্যে যে মানসিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে অনেক কোম্পানি কর্মীদের অতিরিক্ত ছুটি দিচ্ছে। লিঙ্কডইনের মতো কোম্পানি টানা এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখছে। ডেলয়টের প্রধান নির্বাহী জোসেফ বলেছেন, অনেক কোম্পানি ভবিষ্যতে কর্মীদের আরও ছুটি দিতে কর্মসময়ে সমন্বয় আনবে বলে ধারণা করা যায়। সব কর্মীকে একসঙ্গে ছুটি দিচ্ছেন তাঁরা। তার কারণ হচ্ছে, সবাই একসঙ্গে ছুটি পেলে অন্তত অফিসের ই-মেইল দেখার বেদনা সহ্য করতে হয় না।